ক্বদর-১৪৪
তারাবিহের নামাজ
রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে ইশার নামাযের পর জামাতের সাথে বিশ রাকাত নফল নামায পড়া হয় তাকে তারাবীহ্ এর নামায বলা হয়। এটা
তারাবিহ্ সম্পর্কীয় কতিপয় মাসয়ালা
মাহে রমযানে ইশার নামাযের পর দু'রাকাত করে বিশ রাকাত নামায পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ্।
তারাবিহ্ নামাযের দোয়া
বিশ্রামের সময় চুপ করে বসে থাকা কিংবা পৃথক ভাবে নফল নামায পড়া বা
তারাবিহ্ নামাযের মোনাজাত
আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউযুবিকা মিনান্নার।
ফিদইয়া
যেই ব্যক্তি অতি বৃদ্ধ হয়ে দূর্বল হয়ে যাওয়ার
কারণে রোজা রাখতে পারে না অথবা যেই মহিলা গর্ভাবস্থায় থাকবার কারণে রোজা রাখলে
সন্তানের ক্ষতি হবে অথবা যে মহিলা শিশুকে দুধ পান করায়; রোজা রাখলে দুধ শুকিয়ে যায়
বা বাচ্চার কষ্ট হয় অথবা অন্য কোন রোগের কারণে রোজা রাথতে পারছেনা, এমতাবস্থায়
প্রতি রোজার পরিবর্তে ১ জন মিস্কীনকে ২ বেলা পেট ভরে খাওয়াবে অথবা এক সাদক্বায়ে
ফিতর পরিমাণ বা তার মূল্য দিয়া দেয়াকে শরীয়তের পরিভাষায় ফিদইয়া বলে। ফিদইয়া দেওয়ার
পর বৃদ্ধের শরীরে যদি রোজা রাখার ক্ষমতা ফিরে আসে, অক্ষম ব্যক্তিদের অক্ষমতা দূর
হয়ে যায় তখন তাদেরকে পুনরায় রোজার ক্বাজা আদায় করতে হবে।
সাদক্বায়ে ফিত্র
একান্নভুক্ত পরিবার, যাদের খোরপোষের ব্যবস্থা
একত্রে হয়, ঈদুল ফিত্রের দিন (এমনকি সুবহে সাদিকের পূর্বে যে সন্তান জন্মগ্রহণ
করেছে, তার জন্যও) প্রত্যেকের পক্ষ হতে সক্ষম গৃহকর্তার উপর ১ টি কের সাদক্বায়ে
ফিত্র আদায় করা ওয়াজিব। সাদক্বায়ে ফিত্র ঈদের নামাজের আগে আদায় করা উত্তম। ১ টি
সাদক্বায়ে ফিত্রের পরিমান ১ সের ১২ ছটাক গম বা আটা অথবা তার মূল্য গরীব ও মিস্কীনকে
বিতরণ করতে হবে।
সক্ষমতার মাপকাঠি : স্বাভাবিক সাংসারিক প্রয়োজন
ও ঋণের অতিরিক্ত ৭.৫ তোলা স্বর্ণ কিংবা ৫২.৫ তোলা রূপা অথবা তৎপরিমাণ নগদ টাকা বা এ পরিমাণ মূল্যের কোন আসবাবপত্র বা মালের ঐ দিন মালিক
থাকলে, তার উপর পরিবারের সকলের সাদক্বায়ে
ফিত্র আদায় করা ওয়াজিব। এই রূপে 'ঈদুল আযহা'র দিন ঐ পরিমাণ মালের মালিক থাকলে,
তার উপর কোরবানী করা ওয়াজিব হবে। এমনিভাবে ঐ পরিমাণ মাল থাকলে যাকাত, সাদকা
ইত্যাদি খেতে পারবে না। এই পরিমাণ মাল ১ বছর যার নিকট থাকবে, তার নিকট যাকাত ফরজ
হবে।
ই'তিকাফ
রমজান সূর্যাস্তের পূর্ব হতে শেষ রমজানের
সূর্যাস্ত পর্যন্ত পুরুষদের মসজিদে, মেয়েদের (নিজগৃহে) নির্ধারিত নামাজের স্থানে
নিয়মানুযায়ী পাবন্দী সহিত নিয়্যাত সহকারে অবস্থান করাকে ''ইতিকাফ'' বলে।
পেশাব-পায়খানার প্রয়োজন ব্যতীত ই'তিকাফের স্থান
হতে বাহিরে যেতে পারবে না। এক মুহুর্তের জন্য বিনা প্রয়োজনে বাহির হলে অথবা
পায়খানা পেশাব করতে গিয়ে বিনা প্রয়োজনে দেরী করলে ই'তিকাফ ভেঙ্গে যাবে। খাবার নিয়ে
আসার লোক না থাকলে, বাইরে দাঁড়িয়ে দেরী না করে খাবার আনতে পারবে। ভিতরে ব্যবস্থা
না থাকলে উজুর জন্য মসজিদের বাইরে যেতে পারবে।
ই'তিকাফে বসে নামাজ, কুরআন শরীফ তেলাওয়াত, জিকির
আজকার, তাস্বীহ তাহ্লীলে ব্যস্ত থাকবে অথবা (প্রয়োজনে) ঘুমাবে। নিশ্চুপ বসে
থাকবে না। বিশেষ প্রয়োজনীয় কথাবার্তা-কাজকর্ম মসজিদে বসে করতে পারবে।
অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা ও কাজকর্ম মসজিদে বসে করবে
না। মহিলাদের ই'তিকাফ অবস্থায় স্বামীর সঙ্গে মিলামিশা বা আলিঙ্গন দুরু্স্ত নাই।
রমজানের শেষ ১০ দিন ই'তিকাফ সুন্নাতে মুআক্কাদাহ্। নজর ও মান্নত করলে ওয়াজিব হবে।
রমজান ব্যতীত ই'তিকাফের মান্নত করলে, ই'তিকাফের
সাথে রোজাও রাখতে হবে। পূর্ণ ১ দিনের কম শরয়ী ই'তিকাফ হয় না।
নামাজ শিক্ষা
ReplyDelete